ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি এবং বিনামূল্যে সেলাই মেশিন
মহিলারা পরিবার ও সমাজের ক্ষেত্রে সবসময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এর জন্যে তারা কোনো স্বীকৃতি পায় না। ফলে তারা অপেক্ষাকৃত কম মর্যাদাসম্পন্ন এবং দুর্বল শ্রেণীভুক্ত হিসেবেই থাকে। এটা দুভার্গ্যের বিষয় যে, স্বাধীনতার ১০০ বছর পরেও বাংলাদেশের নারীদের অবস্থান পুরুষদের তুলনায় পিছিয়ে। এমনকি একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে দেখা যাচ্ছে নারী শিশু ও মহিলাদের মৃত্যুর হার তুলনামূলক বেশি। শিক্ষার হার কম। অধিকাংশ মহিলা অপুষ্টির শিকার। উচ্চ বেতনের চাকুরিতে মহিলাদের নিযুক্তি খুবই কম। অন্যান্য ক্ষেত্রে তাদের পারিশ্রমিকও কম। তারা নানা ধরণের বৈষম্যের শিকার। তাছাড়া মহিলাদের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও অত্যাচারের সংখ্যা দিন দিন উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সমাজের এ ধরণের বৈষম্যমূলক আচরণ পরিবর্তন এবং নারীদের অবস্থার উন্নয়নে তাদেরকে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অংশগ্রহণের জন্যে তৈরি করা বাধ্যতামূলক। এবং তাদের উপযোগী করে গড়ে তোলার জন্যে গৃহস্থালীর কাজকর্মের পাশাপাশি সরকারি পরিষেবা, পরিকাঠামো এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যুক্ত করা জরুরি। মনে রাখতে হবে, মহিলারা কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের সংগে নিজেদের যুক্ত করতে পারলেই সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
অনগ্রসর, অবহেলিত, বেকার মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থান, জীবনের মান উন্নয়ন ও আয়বর্ধক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে “সৌহার্দ্ ফাউন্ডেশন ” ক্ষুদ্র ঋণ কর্মসূচি এবং বিনামূল্যে সেলাই মেশিন বিতরণের উদ্যেগ গ্রহণ করে।